ঝুম বরষায় রাস্তার ধারে, হঠাৎ ছাতা ফেলে তোমার
বৃষ্টিধারায় সিক্ত হওয়া । ভেজা চুলে তোমার
আঙুলের নাচন । ভালবাসা বোধহয় এভাবেই আসে,
মুগ্ধ করে তার প্রতি । কী অপূর্ব লাগছিল, সেদিনের
আনন্দ হিল্লোলে ভাসা তোমার চোখের চাহনি ।
আমি শিউরে উঠেছিলাম
কী এক অজানা আবেশে । তুমি তাকালে আমার পানে
হাসি মুখে, চোখে আহ্বান বৃষ্টিস্নানের ।
হাতের বর্ষাতি, আর পরনের রেইনকোট ফেলে
মন চাইছিল তোমার হাত ধরে
ভিজতে, এই মৌনমুখর বেলায় ।
কিন্তু যাওয়া হয়নি, আজন্ম লজ্জা দিল বাধা, লাজুক আমি
চেয়ে দেখেছি তোমায় চশমার ফাকে
মুগ্ধ চোখে, দীর্ঘকায়া তুমি, কাকের মতন
জলে ভেজা, ভয় হয়েছিল- ঠান্ডা লাগে যদি !.......
সেই তোমার কাছে আজ জানতে ইচ্ছে হয়
আজো কি তুমি বৃষ্টির জল মাখ ?
আজো কি বৃষ্টি এলে তোমার কণ্ঠে আসে
বর্ষার স্নিগ্ধ গান ??
প্রথম দেখা সবসময়ই মধুর । আনমনে
হেসে উঠি নিজের বোকামিতে । বোকা মেয়ে বলে
ঠাট্টা করি নিজের সাথে । একটু পরেই মনে ওঠে
এই গত ফাগুনেও তুমি ছিলে পাশে;
দুপুরের আগুনে রোদ ঝরে পড়ছিল তোমার দেহে ।
আমার ছাতাটা এগিয়ে দিতেই শুনি-
লাগবে না, তুমি দাও, রোদ চড়ছে ।
এখন আমার মনে অনেক প্রশ্ন । বদলে যাওয়া
তোমাকে তপ্ত রোদ কি আজো ভেজায় ঘামে ?
এ বছরের শীত আমার জন্য বড় নি:সঙ্গতার বাহন ।
একাকী আমি বসে থাকি কনকনে হাওয়ায় ।
তুমি থাকলে, হয়ত এনে পরিয়ে দিতে
সোয়েটার, কানটুপি । তোমার পরার সেই
পাতলা জ্যাকেটটা এখনো আলমিরায় তোলা ।
আর নেই কিছু, কানটুপি কিংবা মাফলার
কোনদিন পরোনি তুমি । এখনো কি
শীতের কনকনে হাওয়া ঢোকে তোমার উদোম কানে ?
কুয়াশায় মাখামাখি হয় তোমার মুখমন্ডল?
হয়তবা, হয়ত না । তোমার দিন কাটে
হয়তবা এমনই করে পার্কে, মাঠে ঘাটে কিংবা
অফিসপাড়ায় । এ গলি, সে গলি হাটা
তোমার পরশ পায় শীত কি বর্ষা, রোদেলা দুপুর।
শুধু আমি পাইনা স্পর্শ তোমার ।
হয়ত তুমি একই পোশাক ধারণ করবে আজীবন ।
একই রঙের খেলায় ভাসাবে নিজেকে,
কিন্তু আমি বদলাবো নিজেরই প্রয়োজনে ।
গুটিয়ে যাবো খোলসে আমার, কালের ধারায়
ইতিহাস খুজে পাবে তোমার অবশেষ, আমার কখনোই নয় ।
দীর্ঘদিন পর একটা স্যাড রোমান্টিক কবিতা পোস্ট করলাম । ইহা উৎসর্গ করা হইয়াছে তির্যক নামে একজন ব্লগারকে । সে এই ব্লগে ব্লগিঙ করে কিনা জানি না ।